, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে আরো ১ জনের মৃত্যু, মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৭ চুয়াডাঙ্গায় কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ কমিটির সভা: সারের পর্যাপ্ততা ও সঠিক ব্যবহার নিয়ে আলোচনা, কৃষকদের পাশে থাকার অঙ্গীকার চুয়াডাঙ্গায় মদ্যপানে ৬ জনের মৃত্যু, অসুস্থ ৩ জন চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত মদপানে ৬ জনের মৃত্যু অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তারেক রহমান জীবননগর উথলীতে নিহত দুই ভাইয়ের পরিবারের খোঁজ নিলেন বাবু খান দর্শনায় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে স্বর্ণজয়ী জিহাদের হাতে উপহার দিলেন বাবু দামুড়হুদায় পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে ৬ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলল দুর্বৃত্তরা শহীদ রফিকুল ইসলামের ১২তম শাহাদাত বার্ষিকীতে চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রশিবিরের দোয়া মাহফিল ও কবর জিয়ারত চুয়াডাঙ্গায় যৌথবাহিনীর অভিযানে বহুল আলোচিত ‘মাদক সম্রাজ্ঞী’ শিপরা ও স্বামী বাবুল গ্রেপ্তার

ভারতের কারারক্ষীকে পিটিয়ে জেল থেকে পালিয়েছে বাংলাদেশী কারাবন্দি

  • প্রকাশের সময় : ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৫ পড়া হয়েছে

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের একটি কারাগারে কারারক্ষীকে মারধর করে পালিয়েছে ছয় বন্দি। পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের মধ্যে একজন বাংলাদেশের নাগরিকও রয়েছেন। বুধবার সকাল ৬টা ২ মিনিটের দিকে উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগরের কালিকাপুর সাব জেলে এ ঘটনা ঘটে। পুরো ঘটনাটি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। ধর্মনগর মহকুমার শাসক এবং ওই সাব জেলের সুপার দেবযানী চৌধুরী জানান, পালিয়ে যাওয়া ছয় জনের মধ্যে একজন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এবং বাকি পাঁচজনের বিচার চলছিল। তিনি বলেন, ‘‘জামনগর সাবজেলের জেলারের কাছ থেকে ফোন পেয়ে আমি দ্রুত সেখানে যাই এবং উপস্থিত স্টাফদের কাছ থেকে সব তথ্য সংগ্রহ করি।’’তিনি আরও জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। এসডিপিও ধর্মনগর ও নর্থ জেলার এসপিও পৃথকভাবে তদন্ত করছেন। বিএসএফ এবং সাব জেলের আশপাশের সব পুলিশ স্টেশনকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আশপাশের সব সাবডিভিশনের পুলিশকেও সতর্ক করা হয়েছে, যাতে দ্রুত তাদের আটক করা যায়। কারা কর্তৃপক্ষের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী, পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের মধ্যে নারায়ণ চন্দ্র দত্ত নামে এক বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন, যিনি জাল কাগজপত্র রাখার অভিযোগে আটক ছিলেন।

এদিকে বিবিসির প্রতিবেদন প্রকাশের পর ধর্মনগর থানার পুলিশ জানায়, পলাতক বন্দিদের মধ্যে একজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আসামের নিলামবাজারের বাসিন্দা আব্দুল পাট্টা, যিনি রাজ্য ছেড়ে পালাতে গাড়ি ভাড়া করেছিলেন। তবে পুলিশ তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। বাকি পাঁচ বন্দি এখনও পলাতক।

কীভাবে পালাল বন্দিরা
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, এক বন্দি গামছা জাতীয় কাপড় দিয়ে পেছন থেকে এসে কারারক্ষীর গলা পেঁচিয়ে ধরে। সঙ্গে সঙ্গেই আরও দুই বন্দি দৌড়ে এসে তাকে মারধর করে। পরে চারজন মিলে কারারক্ষীকে প্রহার করে এবং একজন গেট খুলে ফেলে।

এরপর এক কারারক্ষী এগিয়ে এলে পাঁচ বন্দি গেট দিয়ে পালিয়ে যায়। ষষ্ঠজন গেটের পাশে একটি রুমে ঢুকে পড়ে। পরে সুযোগ বুঝে সেই রুম থেকেও বের হয়ে পালিয়ে যায়।

পলাতক বন্দিদের পরিচয়
কারা কর্তৃপক্ষ ছয় পলাতক বন্দির নাম প্রকাশ করেছে—
১. নাজিম উদ্দিন – চুরি ও সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত।
২. রহিম আলী – ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) ৩৩১/৩০৯ ধারার মামলায় অভিযুক্ত।
৩. সুনীল দেববর্মা – খুনসহ গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত।
৪. নারায়ণ দত্ত – বাংলাদেশি নাগরিক, অবৈধ দলিলপত্র রাখার অভিযোগে আটক।
৫. রোজান আলী – দক্ষিণ কদমতলার জমির আলীর ছেলে, বিএনএস ৩৩১/৩০৯ ধারার মামলায় অভিযুক্ত।
৬. আব্দুল পাট্টা – মাদক মামলায় অভিযুক্ত (গ্রেপ্তার হয়েছেন)।

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, বন্দিরা প্রধান ফটকে রক্ষীদের পাশ কাটিয়ে জেল প্রাঙ্গণের ডান পাশ দিয়ে প্রাচীর টপকে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় আহত কারারক্ষী বেদু মিয়া বর্তমানে ডিএমএন জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সূত্র: বিবিসি

জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে আরো ১ জনের মৃত্যু, মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৭

ভারতের কারারক্ষীকে পিটিয়ে জেল থেকে পালিয়েছে বাংলাদেশী কারাবন্দি

প্রকাশের সময় : ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের একটি কারাগারে কারারক্ষীকে মারধর করে পালিয়েছে ছয় বন্দি। পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের মধ্যে একজন বাংলাদেশের নাগরিকও রয়েছেন। বুধবার সকাল ৬টা ২ মিনিটের দিকে উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগরের কালিকাপুর সাব জেলে এ ঘটনা ঘটে। পুরো ঘটনাটি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। ধর্মনগর মহকুমার শাসক এবং ওই সাব জেলের সুপার দেবযানী চৌধুরী জানান, পালিয়ে যাওয়া ছয় জনের মধ্যে একজন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এবং বাকি পাঁচজনের বিচার চলছিল। তিনি বলেন, ‘‘জামনগর সাবজেলের জেলারের কাছ থেকে ফোন পেয়ে আমি দ্রুত সেখানে যাই এবং উপস্থিত স্টাফদের কাছ থেকে সব তথ্য সংগ্রহ করি।’’তিনি আরও জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। এসডিপিও ধর্মনগর ও নর্থ জেলার এসপিও পৃথকভাবে তদন্ত করছেন। বিএসএফ এবং সাব জেলের আশপাশের সব পুলিশ স্টেশনকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আশপাশের সব সাবডিভিশনের পুলিশকেও সতর্ক করা হয়েছে, যাতে দ্রুত তাদের আটক করা যায়। কারা কর্তৃপক্ষের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী, পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের মধ্যে নারায়ণ চন্দ্র দত্ত নামে এক বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন, যিনি জাল কাগজপত্র রাখার অভিযোগে আটক ছিলেন।

এদিকে বিবিসির প্রতিবেদন প্রকাশের পর ধর্মনগর থানার পুলিশ জানায়, পলাতক বন্দিদের মধ্যে একজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আসামের নিলামবাজারের বাসিন্দা আব্দুল পাট্টা, যিনি রাজ্য ছেড়ে পালাতে গাড়ি ভাড়া করেছিলেন। তবে পুলিশ তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। বাকি পাঁচ বন্দি এখনও পলাতক।

কীভাবে পালাল বন্দিরা
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, এক বন্দি গামছা জাতীয় কাপড় দিয়ে পেছন থেকে এসে কারারক্ষীর গলা পেঁচিয়ে ধরে। সঙ্গে সঙ্গেই আরও দুই বন্দি দৌড়ে এসে তাকে মারধর করে। পরে চারজন মিলে কারারক্ষীকে প্রহার করে এবং একজন গেট খুলে ফেলে।

এরপর এক কারারক্ষী এগিয়ে এলে পাঁচ বন্দি গেট দিয়ে পালিয়ে যায়। ষষ্ঠজন গেটের পাশে একটি রুমে ঢুকে পড়ে। পরে সুযোগ বুঝে সেই রুম থেকেও বের হয়ে পালিয়ে যায়।

পলাতক বন্দিদের পরিচয়
কারা কর্তৃপক্ষ ছয় পলাতক বন্দির নাম প্রকাশ করেছে—
১. নাজিম উদ্দিন – চুরি ও সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত।
২. রহিম আলী – ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) ৩৩১/৩০৯ ধারার মামলায় অভিযুক্ত।
৩. সুনীল দেববর্মা – খুনসহ গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত।
৪. নারায়ণ দত্ত – বাংলাদেশি নাগরিক, অবৈধ দলিলপত্র রাখার অভিযোগে আটক।
৫. রোজান আলী – দক্ষিণ কদমতলার জমির আলীর ছেলে, বিএনএস ৩৩১/৩০৯ ধারার মামলায় অভিযুক্ত।
৬. আব্দুল পাট্টা – মাদক মামলায় অভিযুক্ত (গ্রেপ্তার হয়েছেন)।

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, বন্দিরা প্রধান ফটকে রক্ষীদের পাশ কাটিয়ে জেল প্রাঙ্গণের ডান পাশ দিয়ে প্রাচীর টপকে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় আহত কারারক্ষী বেদু মিয়া বর্তমানে ডিএমএন জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সূত্র: বিবিসি