, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দামুড়হুদায় একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে জখম: নিহত ১, তিন জনের অবস্থা আশংকা জনক চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে আরো ১ জনের মৃত্যু, মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৭ চুয়াডাঙ্গায় কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ কমিটির সভা: সারের পর্যাপ্ততা ও সঠিক ব্যবহার নিয়ে আলোচনা, কৃষকদের পাশে থাকার অঙ্গীকার চুয়াডাঙ্গায় মদ্যপানে ৬ জনের মৃত্যু, অসুস্থ ৩ জন চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত মদপানে ৬ জনের মৃত্যু অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তারেক রহমান জীবননগর উথলীতে নিহত দুই ভাইয়ের পরিবারের খোঁজ নিলেন বাবু খান দর্শনায় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে স্বর্ণজয়ী জিহাদের হাতে উপহার দিলেন বাবু দামুড়হুদায় পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে ৬ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলল দুর্বৃত্তরা শহীদ রফিকুল ইসলামের ১২তম শাহাদাত বার্ষিকীতে চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রশিবিরের দোয়া মাহফিল ও কবর জিয়ারত

চুয়াডাঙ্গা বিএসএফ সীমান্তরক্ষী নয়, খুনি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে: নাহিদ ইসলাম

  • প্রকাশের সময় : ০৫:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
  • ৯৬ পড়া হয়েছে

 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বিএসএফ কোনো সীমান্তরক্ষী বাহিনী নয়, বরং এটি একটি খুনি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। ভারতীয় আধিপত্যবাদের কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বারবার লঙ্ঘিত হয়েছে। আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যা দেওয়া হয়নি। অর্থনৈতিকভাবে, সাংস্কৃতিকভাবে বারবার বাংলাদেশকে অবদমন করা হয়েছে।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের শহিদ হাসান চত্বরে আয়োজিত এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। নাহিদ বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা আমরা কখনোই মেনে নেব না। গত ৫৪ বছরে সীমান্তে হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। শুধু চুয়াডাঙ্গাতেই সীমান্ত এলাকায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২০০ জন।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বিগত ১৬ বছর ভারত সরকারের সহায়তায় দেশে গুম, খুন ও দমন-পীড়নের রাজনীতি চালিয়েছে।’

এ সময় দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরাসরি গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি নিজেই গণহত্যা পরিচালনা করেছেন। অথচ সেই শেখ হাসিনাকে ভারতের বর্তমান মোদি সরকার আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। একজন মানবতাবিরোধী অপরাধী, একজন গণহত্যাকারীকে আশ্রয় দেওয়ার দায় ভারতকেই নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ভারত সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ইতিহাসের কাছে আপনাদের জবাবদিহি করতে হবে। মোদি সরকারকে মনে রাখতে হবে, গণমানুষের রক্তের দায় কখনো ধোয়া যায় না।’
এদিন পথসভায় এনসিপির ভবিষ্যৎ রূপরেখা ও রাজনৈতিক দর্শন তুলে ধরেন আখতার হোসেন।
তিনি বলেন, ‘এনসিপি দেশে নতুন ধারা ও নতুন রাজনীতির সূচনা করতে চায়। আমরা চাই একটি বৈষম্যহীন, মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্র, যেখানে প্রতিটি মানুষের মর্যাদা, অধিকার ও ন্যায়ের নিশ্চয়তা থাকবে। হাজারো মানুষ আমাদের এই পদযাত্রায় অংশ নিচ্ছেন, শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, ভালোবাসা দিচ্ছেন। আমরা সেই ভালোবাসার দায়িত্ব নিতে চাই, নতুন বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে নিজেদের উৎসর্গ করে।’ নেতারা আরও বলেন, ‘আমাদের অনেক ভাই শহিদ হয়েছেন। গণতন্ত্র, মানবিকতা, স্বাধীন মত প্রকাশ এবং আইনের শাসনের জন্য তাদের রক্ত ঝরেছে। সেই রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে কেবল সরকারের পরিবর্তন নয়, গোটা রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক রূপান্তর ঘটাতে হবে।’

এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব মোল্লা মো. ফারুক এহসান, ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।

এর আগে, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া বাজারে ‘জুলাই পদযাত্রা’র আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। এরপর দুপুর দেড়টায় আলমডাঙ্গা শহরের আলতাইবা মোড়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের শহিদ হাসান চত্বরে আয়োজিত পথসভাটি ছিল এই কর্মসূচির অন্যতম কেন্দ্রীয় আয়োজন। পরে বিকেলে দর্শনা ও জীবননগরে আরও দুটি পথসভা শেষে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা ঝিনাইদহের উদ্দেশ্যে রওনা হন

জনপ্রিয়

দামুড়হুদায় একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে জখম: নিহত ১, তিন জনের অবস্থা আশংকা জনক

চুয়াডাঙ্গা বিএসএফ সীমান্তরক্ষী নয়, খুনি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে: নাহিদ ইসলাম

প্রকাশের সময় : ০৫:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বিএসএফ কোনো সীমান্তরক্ষী বাহিনী নয়, বরং এটি একটি খুনি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। ভারতীয় আধিপত্যবাদের কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বারবার লঙ্ঘিত হয়েছে। আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যা দেওয়া হয়নি। অর্থনৈতিকভাবে, সাংস্কৃতিকভাবে বারবার বাংলাদেশকে অবদমন করা হয়েছে।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের শহিদ হাসান চত্বরে আয়োজিত এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। নাহিদ বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা আমরা কখনোই মেনে নেব না। গত ৫৪ বছরে সীমান্তে হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। শুধু চুয়াডাঙ্গাতেই সীমান্ত এলাকায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২০০ জন।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বিগত ১৬ বছর ভারত সরকারের সহায়তায় দেশে গুম, খুন ও দমন-পীড়নের রাজনীতি চালিয়েছে।’

এ সময় দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরাসরি গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি নিজেই গণহত্যা পরিচালনা করেছেন। অথচ সেই শেখ হাসিনাকে ভারতের বর্তমান মোদি সরকার আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। একজন মানবতাবিরোধী অপরাধী, একজন গণহত্যাকারীকে আশ্রয় দেওয়ার দায় ভারতকেই নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ভারত সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ইতিহাসের কাছে আপনাদের জবাবদিহি করতে হবে। মোদি সরকারকে মনে রাখতে হবে, গণমানুষের রক্তের দায় কখনো ধোয়া যায় না।’
এদিন পথসভায় এনসিপির ভবিষ্যৎ রূপরেখা ও রাজনৈতিক দর্শন তুলে ধরেন আখতার হোসেন।
তিনি বলেন, ‘এনসিপি দেশে নতুন ধারা ও নতুন রাজনীতির সূচনা করতে চায়। আমরা চাই একটি বৈষম্যহীন, মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্র, যেখানে প্রতিটি মানুষের মর্যাদা, অধিকার ও ন্যায়ের নিশ্চয়তা থাকবে। হাজারো মানুষ আমাদের এই পদযাত্রায় অংশ নিচ্ছেন, শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, ভালোবাসা দিচ্ছেন। আমরা সেই ভালোবাসার দায়িত্ব নিতে চাই, নতুন বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে নিজেদের উৎসর্গ করে।’ নেতারা আরও বলেন, ‘আমাদের অনেক ভাই শহিদ হয়েছেন। গণতন্ত্র, মানবিকতা, স্বাধীন মত প্রকাশ এবং আইনের শাসনের জন্য তাদের রক্ত ঝরেছে। সেই রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে কেবল সরকারের পরিবর্তন নয়, গোটা রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক রূপান্তর ঘটাতে হবে।’

এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব মোল্লা মো. ফারুক এহসান, ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।

এর আগে, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া বাজারে ‘জুলাই পদযাত্রা’র আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। এরপর দুপুর দেড়টায় আলমডাঙ্গা শহরের আলতাইবা মোড়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের শহিদ হাসান চত্বরে আয়োজিত পথসভাটি ছিল এই কর্মসূচির অন্যতম কেন্দ্রীয় আয়োজন। পরে বিকেলে দর্শনা ও জীবননগরে আরও দুটি পথসভা শেষে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা ঝিনাইদহের উদ্দেশ্যে রওনা হন