, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দামুড়হুদায় একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে জখম: নিহত ১, তিন জনের অবস্থা আশংকা জনক চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে আরো ১ জনের মৃত্যু, মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৭ চুয়াডাঙ্গায় কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ কমিটির সভা: সারের পর্যাপ্ততা ও সঠিক ব্যবহার নিয়ে আলোচনা, কৃষকদের পাশে থাকার অঙ্গীকার চুয়াডাঙ্গায় মদ্যপানে ৬ জনের মৃত্যু, অসুস্থ ৩ জন চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত মদপানে ৬ জনের মৃত্যু অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তারেক রহমান জীবননগর উথলীতে নিহত দুই ভাইয়ের পরিবারের খোঁজ নিলেন বাবু খান দর্শনায় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে স্বর্ণজয়ী জিহাদের হাতে উপহার দিলেন বাবু দামুড়হুদায় পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে ৬ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলল দুর্বৃত্তরা শহীদ রফিকুল ইসলামের ১২তম শাহাদাত বার্ষিকীতে চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রশিবিরের দোয়া মাহফিল ও কবর জিয়ারত

চুয়াডাঙ্গায় পুরোনো ছবি ছড়িয়ে প্রতিমা ভাঙচুরের গুজব, ঘটনাস্থলে প্রশাসন

  • প্রকাশের সময় : ১১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১০ পড়া হয়েছে

 

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দৌলতদিয়াড় দক্ষিণপাড়া বারোয়ারী দুর্গা মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে গুজব তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। তবে প্রশাসনের তৎপরতায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিশ্চিত করা হয়েছে—এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর ‘uttam div’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে প্রতিমার হাত ভাঙা অবস্থার ছবি পোস্ট করে দাবি করা হয়, মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে। একইসঙ্গে ‘৬৪ জেলা সনাতনী পরিবার’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপেও পোস্টটি শেয়ার হয়। মুহূর্তেই বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ইউএনও এম. সাইফুল্লাহ ও সদর থানার ওসি খালেদুর রহমান দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেখানে গিয়ে তারা দেখেন, মন্দিরে ভাঙচুরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

মন্দির কমিটির সভাপতি শ্রী সঞ্জয় কুমার সাধুখা বলেন, “আমাদের মন্দিরে কোনো প্রতিমা ভাঙচুর হয়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ছবি ছড়ানো হয়েছে তা দুই বছর আগের। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তখন এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ছবি ব্যবহার করে এখন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে। আমরা গুজবকারীদের দ্রুত সনাক্ত ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”

তিনি আরও জানান, গুজব ছড়িয়ে পড়ার পরপরই প্রশাসন ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বর্তমানে মন্দির নিরাপদ রয়েছে।

খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, ইউএনও এম. সাইফুল্লাহ, সদর থানার ওসি খালেদুর রহমান এবং পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা হেমন্ত কুমার সিংহ রায় মন্দির পরিদর্শন করেন। তারা মন্দির কর্তৃপক্ষকে আশ্বস্ত করেন—গুজব ছড়ানোদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম. সাইফুল্লাহ বলেন, “পুরোনো ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে গুজব ছড়ানো হয়েছে। আমরা দ্রুত মন্দির পরিদর্শন করেছি ও নিরাপত্তা জোরদার করেছি। তৃতীয় পক্ষ যাতে সুযোগ নিতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি।”

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, “গুজব ছড়িয়ে কেউ যেন পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে না পারে, সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সবাইকে বিভ্রান্তিকর তথ্য থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

জনপ্রিয়

দামুড়হুদায় একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে জখম: নিহত ১, তিন জনের অবস্থা আশংকা জনক

চুয়াডাঙ্গায় পুরোনো ছবি ছড়িয়ে প্রতিমা ভাঙচুরের গুজব, ঘটনাস্থলে প্রশাসন

প্রকাশের সময় : ১১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দৌলতদিয়াড় দক্ষিণপাড়া বারোয়ারী দুর্গা মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে গুজব তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। তবে প্রশাসনের তৎপরতায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিশ্চিত করা হয়েছে—এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর ‘uttam div’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে প্রতিমার হাত ভাঙা অবস্থার ছবি পোস্ট করে দাবি করা হয়, মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে। একইসঙ্গে ‘৬৪ জেলা সনাতনী পরিবার’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপেও পোস্টটি শেয়ার হয়। মুহূর্তেই বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ইউএনও এম. সাইফুল্লাহ ও সদর থানার ওসি খালেদুর রহমান দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেখানে গিয়ে তারা দেখেন, মন্দিরে ভাঙচুরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

মন্দির কমিটির সভাপতি শ্রী সঞ্জয় কুমার সাধুখা বলেন, “আমাদের মন্দিরে কোনো প্রতিমা ভাঙচুর হয়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ছবি ছড়ানো হয়েছে তা দুই বছর আগের। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তখন এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ছবি ব্যবহার করে এখন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে। আমরা গুজবকারীদের দ্রুত সনাক্ত ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”

তিনি আরও জানান, গুজব ছড়িয়ে পড়ার পরপরই প্রশাসন ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বর্তমানে মন্দির নিরাপদ রয়েছে।

খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, ইউএনও এম. সাইফুল্লাহ, সদর থানার ওসি খালেদুর রহমান এবং পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা হেমন্ত কুমার সিংহ রায় মন্দির পরিদর্শন করেন। তারা মন্দির কর্তৃপক্ষকে আশ্বস্ত করেন—গুজব ছড়ানোদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম. সাইফুল্লাহ বলেন, “পুরোনো ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে গুজব ছড়ানো হয়েছে। আমরা দ্রুত মন্দির পরিদর্শন করেছি ও নিরাপত্তা জোরদার করেছি। তৃতীয় পক্ষ যাতে সুযোগ নিতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি।”

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, “গুজব ছড়িয়ে কেউ যেন পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে না পারে, সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সবাইকে বিভ্রান্তিকর তথ্য থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।