, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চুয়াডাঙ্গায় স্পিরিট পানে ৭ জনের মৃত্যু, ৪ জনের মরদেহ উত্তোলন চুয়াডাঙ্গায় ১ হাজার ৯০০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি আটক জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খাবারের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন চুয়াডাঙ্গায় পাঁচ ব্যবসায়ীকে ৬৬ হাজার জরিমানা দামুড়হুদায় মাথাভাঙ্গা নদীর অবৈধ বাঁধ অপসারণ চুয়াডাঙ্গায় বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা চুয়াডাঙ্গায় ২০ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার বেলগাছি ইউনিয়ন মহিলা দলের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে শরীফুজ্জামান নির্বাচন প্রলম্বিত করতে পরিস্থিতি অস্থির করা হচ্ছে : শামসুজ্জামান দুদু দর্শনায় কেরু’র অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের মানববন্ধন ও স্বারকলিপি পেশ

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খাবারের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

  • প্রকাশের সময় : ১৬ ঘন্টা আগে
  • ৪ পড়া হয়েছে

আজাদ হোসেন,

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পথ্য (সরকারি বরাদ্দের খাবার) সরবরাহের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন জীবননগর দৌলতগঞ্জ এলাকার এন এম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মানিক মিয়া।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৪ আগস্ট জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সের ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের পথ্য (সরকারি বরাদ্দের খাবার) সরবরাহের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যার দরপত্র আইডি নং-১১৩৭০৫৯। আমরা নিয়ম মেনে গত ৭ সেপ্টেম্বর তারিখে দরপত্র জমা দিই। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, আমরাসহ আরও চারজন পথ্য দরপত্র জমা দিয়েছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর দরপত্র জমা দেয়া শেষ দিনেই দরপত্র উন্মুক্ত করা হয়। দরপত্র উন্মুক্ত হওয়ার পর আমরা জানতে পারি অনন্যা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান ৩১ লাখ ৭২ হাজার ৮৬৬ টাকার দরপত্র জমা দিয়ে প্রথম হয়ে পথ্য কাজটি প্রাপ্ত হয়েছেন। তবে এই অনন্যা প্রতিষ্ঠানের দরপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় ভুল রয়েছে। তারা জালিয়াতি করে দরপত্র জমা দিয়েছে।

তিনি আরও দাবি করেন, অনন্যা এন্টারপ্রাইজ নামে প্রতিষ্ঠানটি ভুয়া সনদ জমা দিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি দারুল ইলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার একটি অভিজ্ঞতা সনদপত্র দিয়েছেন। দারুল ইলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা এ ধরনের কোনো সনদপত্র দেয়নি। এমনকি দারুল ইলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি সালাউদ্দীন গত ৪ অক্টোবর লিখিতভাবে জীবনননগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে জানিয়েছেন। তিনি লিখিতভাবে স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছেন, ‘বিশ্বস্থ সূত্রে জানতে পারলাম যে, আপনার দপ্তরের টেন্ডার আইডি নং-১১৩৭০৫৯ এর বিপরীতে আপনার প্রতিষ্ঠানে চলতি ২০২৫-২০২৬ সালে পথ্য সরবরাহের নিমিত্তে গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে জীবননগরের অন্যন্যা এন্টারপ্রাইজ দরপত্রের সাথে কোনো সরকারি/আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানে এক বছরের খাবার সরবরাহের যে অভিজ্ঞতা সনদ দাখিল করেছেন। আমি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, মাদ্রাসার পক্ষ থেকে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে মাদ্রাসার খাবার সরবরাহের কোনো সনদ প্রদান করিনি। আর মাদ্রাসার পক্ষ থেকে টাকার বিনিময়ে খাবার সরবরাহের কোনো সুযোগ না থাকায় এই ধরনের সনদ প্রদান করা মাদ্রাসার পক্ষ থেকে সম্ভব না।

তিনি আরও বলেন, ভুয়া অভিজ্ঞতা সনদ দাখিলের প্রসঙ্গে লিখিতভাবে এবং একাধিকবার মৌখিকভাবে জানিয়েও জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কোনো ব্যবস্থা নেইনি। এরমধ্যেই আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি, কয়েকদিনের মধ্যেই অনন্যা এন্টারপ্রাইজকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পথ্য খাবার সরবরাহের দায়িত্ব বুঝে দেয়া হবে। যা স্পষ্টভাবেই অন্যায়। অভিজ্ঞতার মতো গুরুত্বপূর্ণ সনদ জাল করে নকল তথা ভুয়া সনদ প্রদানকৃত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যদি পথ্য খাবারের দায়িত্ব পাই, তা একদিকে যেমন আইনের লঙ্ঘন। অন্যদিকে, রোগী সাধারণের মাঝে সরকারি বরাদ্দের খাবার পৌছানো অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আইন ভুয়া সনদপত্রের বিষয়টিকে প্রতারণামূলক কাজ হিসাবে গণ্য করে। এর ফলে ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্তকরণ, দরপত্র বাতিল, জামানত বাজেয়াপ্ত করা এবং দণ্ডবিধি অনুযায়ী ফৌজদারি মামলা দায়েরের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া যেতে পারে। আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে অনুরোধ করবো, আইন অনুযায়ী জালিয়াতিকারীকে শাস্তি এবং নিয়ম মেনে এই দরপত্রটি বাতিল অথবা পরবর্তী দরপত্রদাতাকে কাজ দেবার ব্যবস্থা করার। প্রয়োজনে আমরা আইনের আশ্রয় নেবো।

জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় স্পিরিট পানে ৭ জনের মৃত্যু, ৪ জনের মরদেহ উত্তোলন

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খাবারের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশের সময় : ১৬ ঘন্টা আগে

আজাদ হোসেন,

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পথ্য (সরকারি বরাদ্দের খাবার) সরবরাহের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন জীবননগর দৌলতগঞ্জ এলাকার এন এম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মানিক মিয়া।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৪ আগস্ট জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সের ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের পথ্য (সরকারি বরাদ্দের খাবার) সরবরাহের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যার দরপত্র আইডি নং-১১৩৭০৫৯। আমরা নিয়ম মেনে গত ৭ সেপ্টেম্বর তারিখে দরপত্র জমা দিই। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, আমরাসহ আরও চারজন পথ্য দরপত্র জমা দিয়েছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর দরপত্র জমা দেয়া শেষ দিনেই দরপত্র উন্মুক্ত করা হয়। দরপত্র উন্মুক্ত হওয়ার পর আমরা জানতে পারি অনন্যা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান ৩১ লাখ ৭২ হাজার ৮৬৬ টাকার দরপত্র জমা দিয়ে প্রথম হয়ে পথ্য কাজটি প্রাপ্ত হয়েছেন। তবে এই অনন্যা প্রতিষ্ঠানের দরপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় ভুল রয়েছে। তারা জালিয়াতি করে দরপত্র জমা দিয়েছে।

তিনি আরও দাবি করেন, অনন্যা এন্টারপ্রাইজ নামে প্রতিষ্ঠানটি ভুয়া সনদ জমা দিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি দারুল ইলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার একটি অভিজ্ঞতা সনদপত্র দিয়েছেন। দারুল ইলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা এ ধরনের কোনো সনদপত্র দেয়নি। এমনকি দারুল ইলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি সালাউদ্দীন গত ৪ অক্টোবর লিখিতভাবে জীবনননগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে জানিয়েছেন। তিনি লিখিতভাবে স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছেন, ‘বিশ্বস্থ সূত্রে জানতে পারলাম যে, আপনার দপ্তরের টেন্ডার আইডি নং-১১৩৭০৫৯ এর বিপরীতে আপনার প্রতিষ্ঠানে চলতি ২০২৫-২০২৬ সালে পথ্য সরবরাহের নিমিত্তে গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে জীবননগরের অন্যন্যা এন্টারপ্রাইজ দরপত্রের সাথে কোনো সরকারি/আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানে এক বছরের খাবার সরবরাহের যে অভিজ্ঞতা সনদ দাখিল করেছেন। আমি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, মাদ্রাসার পক্ষ থেকে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে মাদ্রাসার খাবার সরবরাহের কোনো সনদ প্রদান করিনি। আর মাদ্রাসার পক্ষ থেকে টাকার বিনিময়ে খাবার সরবরাহের কোনো সুযোগ না থাকায় এই ধরনের সনদ প্রদান করা মাদ্রাসার পক্ষ থেকে সম্ভব না।

তিনি আরও বলেন, ভুয়া অভিজ্ঞতা সনদ দাখিলের প্রসঙ্গে লিখিতভাবে এবং একাধিকবার মৌখিকভাবে জানিয়েও জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কোনো ব্যবস্থা নেইনি। এরমধ্যেই আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি, কয়েকদিনের মধ্যেই অনন্যা এন্টারপ্রাইজকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পথ্য খাবার সরবরাহের দায়িত্ব বুঝে দেয়া হবে। যা স্পষ্টভাবেই অন্যায়। অভিজ্ঞতার মতো গুরুত্বপূর্ণ সনদ জাল করে নকল তথা ভুয়া সনদ প্রদানকৃত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যদি পথ্য খাবারের দায়িত্ব পাই, তা একদিকে যেমন আইনের লঙ্ঘন। অন্যদিকে, রোগী সাধারণের মাঝে সরকারি বরাদ্দের খাবার পৌছানো অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আইন ভুয়া সনদপত্রের বিষয়টিকে প্রতারণামূলক কাজ হিসাবে গণ্য করে। এর ফলে ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্তকরণ, দরপত্র বাতিল, জামানত বাজেয়াপ্ত করা এবং দণ্ডবিধি অনুযায়ী ফৌজদারি মামলা দায়েরের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া যেতে পারে। আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে অনুরোধ করবো, আইন অনুযায়ী জালিয়াতিকারীকে শাস্তি এবং নিয়ম মেনে এই দরপত্রটি বাতিল অথবা পরবর্তী দরপত্রদাতাকে কাজ দেবার ব্যবস্থা করার। প্রয়োজনে আমরা আইনের আশ্রয় নেবো।