, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জীবননগর মিনাজপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনছুর আলী স্মৃতি ফটবল টুণামেন্টের ফাইনাল খেলায় বাবু খান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম  শুধু একজন সম্পাদক নন,একটি ব্র্যান্ড  নতুন করে যদি ফ্যাসিস্ট তৈরি হয় পালিয়ে যেতেও পারবে না: মাহমদু হাসান খান বাবু দামুড়হুদায় একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে জখম: নিহত ১, তিন জনের অবস্থা আশংকা জনক চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে আরো ১ জনের মৃত্যু, মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৭ চুয়াডাঙ্গায় কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ কমিটির সভা: সারের পর্যাপ্ততা ও সঠিক ব্যবহার নিয়ে আলোচনা, কৃষকদের পাশে থাকার অঙ্গীকার চুয়াডাঙ্গায় মদ্যপানে ৬ জনের মৃত্যু, অসুস্থ ৩ জন চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত মদপানে ৬ জনের মৃত্যু অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তারেক রহমান জীবননগর উথলীতে নিহত দুই ভাইয়ের পরিবারের খোঁজ নিলেন বাবু খান

চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কিশোরীকে কুপিয়ে জখম

  • প্রকাশের সময় : ১১:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫
  • ২৫ পড়া হয়েছে

 

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে এক কিশোরীকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার(২৭ আগস্ট) দিনগত রাত আনুমানিক ২ টার সময় জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের কলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত কিশোরী হরিহরনগর গ্রামের বাসিন্দা। গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নিকট আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা তাকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি করেছেন। তার মাথায়, পিঠে সবমিলিয়ে ২০টির উপর সেলাই দেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী কিশোরী জানান, বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ২ টার দিকে আমি বাড়ির বাইরে বাথরুমে যায়। এ সময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা একই গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে আশিক (২৮), আবু তাহেরের ছেলে আজাদ (৫০), আবু তাহেরের ছেলে নুরু (৪৫) এবং আইয়ুব আলীর ছেলে সাকিল (২৫) তারা এসে আমার পেছন থেকে জাপটে ধরে। সেই সাথে জোরপূর্বক আমার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু আমি তাদেরকে বাধা দিলে তারা যখন আমার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতে থাকে তখন আমি আত্মচিৎকার করি। আমার মা বাড়ির বাইরে চলে আসলে তারা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ধারালো অস্ত্র হাসুয়া দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এরপর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।

এদিকে কিশোরীর ভাই জানান, রাতে খেয়ে আমি শুয়ে ছিলাম। পরে আনুমানিক রাত ২ টার দিকে আমার বোনের আত্মচিৎকার শুনে বাইরে বেরিয়ে আসলে দেখি আমার বোন রক্তাক্ত অবস্থায় উঠানে পড়ে আছে। একই সাথে চারজনের হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে যেতে দেখি। তারপর আমার বোনকে উদ্ধার করে দ্রুত জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাথায় পিঠে হাতে সর্বমোট ২০ টি সেলাই দেয়। বর্তমানে আমার বোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। আমি এই অন্যায়ের সঠিক বিচার ও দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে জীবননগর থানার (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ হতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। এছাড়াও তদন্তপূর্বক পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব

জনপ্রিয়

জীবননগর মিনাজপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনছুর আলী স্মৃতি ফটবল টুণামেন্টের ফাইনাল খেলায় বাবু খান

চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কিশোরীকে কুপিয়ে জখম

প্রকাশের সময় : ১১:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫

 

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে এক কিশোরীকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার(২৭ আগস্ট) দিনগত রাত আনুমানিক ২ টার সময় জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের কলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত কিশোরী হরিহরনগর গ্রামের বাসিন্দা। গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নিকট আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা তাকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি করেছেন। তার মাথায়, পিঠে সবমিলিয়ে ২০টির উপর সেলাই দেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী কিশোরী জানান, বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ২ টার দিকে আমি বাড়ির বাইরে বাথরুমে যায়। এ সময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা একই গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে আশিক (২৮), আবু তাহেরের ছেলে আজাদ (৫০), আবু তাহেরের ছেলে নুরু (৪৫) এবং আইয়ুব আলীর ছেলে সাকিল (২৫) তারা এসে আমার পেছন থেকে জাপটে ধরে। সেই সাথে জোরপূর্বক আমার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু আমি তাদেরকে বাধা দিলে তারা যখন আমার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতে থাকে তখন আমি আত্মচিৎকার করি। আমার মা বাড়ির বাইরে চলে আসলে তারা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ধারালো অস্ত্র হাসুয়া দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এরপর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।

এদিকে কিশোরীর ভাই জানান, রাতে খেয়ে আমি শুয়ে ছিলাম। পরে আনুমানিক রাত ২ টার দিকে আমার বোনের আত্মচিৎকার শুনে বাইরে বেরিয়ে আসলে দেখি আমার বোন রক্তাক্ত অবস্থায় উঠানে পড়ে আছে। একই সাথে চারজনের হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে যেতে দেখি। তারপর আমার বোনকে উদ্ধার করে দ্রুত জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাথায় পিঠে হাতে সর্বমোট ২০ টি সেলাই দেয়। বর্তমানে আমার বোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। আমি এই অন্যায়ের সঠিক বিচার ও দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে জীবননগর থানার (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ হতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। এছাড়াও তদন্তপূর্বক পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব