
সাংবাদিক পরিচযে একাধিক নারীর সাথে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়ন, পারকৃষ্ণপুর গ্রামের অমিদুল হক (৩৬) নামের ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নারী প্রতারণা আত্মসাতের ও অভিযোগ রযেছে। পেশায় ছিলেন একজন ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি। ভুয়া কথিত সাংবাদিকের মাধ্যমেই শুরু হয় অমিদুল হকের প্রতারণা। প্রাথমিকের গণ্ডি না পেরোনো অমিদুল হক সম্পাদক পরিচয় ব্যবহার করে ভুয়া সাংবাদিক কার্ড বানিয়ে এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ বেশ দাপট দেখিয়ে চলছে। সেই সাথে নিজেকে কখনো সাংবাদিক, কখনো ডাক্তার, কখনো বা ইন্সুরেন্স কোম্পানির বড় অফিসার বলে পরিচয় ও দেন তিনি।
নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট দিয়েছেন, ভুয়া কথিত সাংবাদিক, জাতীয় এবং দৈনিক বানানটা সঠিক ভাবে লিখতে পারে না।
এই বিষয়ে জানতে জাতীয় দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার ম্যানেজার আমিনুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায়, অমিদুল হক সে সকালের সময় কেউ না পরিচয় দিলে মিথ্যা বলতেছে, ওর কার্ডের ছবিটা একটু আমাকে পাঠাও তো দেখব। সাংবাদিকের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন প্রলোভনের জাল বিছিয়ে ফাঁদে ফেলতেন মেয়েদেরকে। তার পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে একাধিক নারী হয়েছেন প্রতারণার শিকার। বিভিন্ন সুযোগ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী প্রাইভেট স্কুলের শিক্ষিকা সাংবাদিকের সাথে অমিদুল হকের গড়ে উঠে সখ্যতা। এক সময় মেয়েটির সাথে তৈরি হয় প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এবং অন্যথায় শর্ত জুড়ে দিয়ে বলতেন, হয় অশ্লীল ছবি পোস্ট করতে হবে না হয় পরিবার থেকে মোটা অংকের টাকা এনে দেতে হবে। শুধু এটাই শেষ নয় ফেইজবুকে, ব্ল্যাকমেইলসহ চলতে থাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন তখন সে আরো ভয়ানক ভাবে মেয়েটিকে অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করতেন ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিভিন্ন মেয়েদের সাথে প্রতারণার কথা জানার পর অমিদুল হকের কাছে মুঠোফোনে বিষয়টি জানতে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং হত্যার হুমকি দেন। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এ হুমকির শিকার । এই হুমকি শুধু মত প্রকাশের স্বাধীনতায় আঘাত নয়, বরং গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের ওপর সরাসরি আঘাত। প্রতারক ভুয়া কথিত সাংবাদিক থেকে সকলকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানান সাংবাদিক মহল। বিষয়টির প্রতি সুনজর দিয়ে প্রতারণাকারী অমিদুল হকের প্রযোজনীয় আইনগত ব্যাবস্থা নিতে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।