মোঃ আলমগীর হোসেন,দামুড়হুদা:চুুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের এর আয়োজনে মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন ও উত্তম চর্চা সম্পর্কে শিক্ষকদের নিয়ে সচেতনামুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আনন্দ-উচ্ছাস আর বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে দিয়ে দামুড়হুদা উপজেলার নির্বাহী অফিসার জনাব তিথী মিত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কে নিয়ে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও মতবিনিময় সভা সুষ্ঠভাবে উদযাপিত হয়েছে।মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন ও উত্তম চর্চা সম্পর্কে শিক্ষকদের নিয়ে সচেতনামুলক সভা উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর ) সকাল ১০:৩০ উপজেলা সভাকক্ষে উক্ত আয়োজিত মঞ্চে প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব তিথী মিত্র।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনার ভূমি কে এইচ তাসফিকুর রহমান উপজেলা দামুড়হুদা চুুয়াডাঙ্গা।এর আগে শিক্ষকগণের উদ্যোগে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও উত্তম চর্চা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথী জনাব তিথী মিত্র বলেন শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি সাফল্য লাভ করতে পারবে না। তিনি আরও বলেন যে আমাদের সন্তানদের শিক্ষিত করতে হলে শুধু শিক্ষকদের কিছু বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হবে।তাদের পিতা মাতা কেও দিকনির্দেশনা দিতে হবে। স্কুলে এসে খোজ খবর নেওয়ার কথা বলতে হবে। সন্তান খোথায় যায় কোথায় থাকে তাঁর খোজ খবর রাখতে হবে। জনাব তিথী মিত্র উপজেলা নির্বাহী অফসার দামুড়হুদা তিনি আরও বলেন আমরা দামুড়হুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোকে একটি মডেল হিসেবে গড়ে তুলব। তিনি আরো বলেন শিক্ষক ও আমাদের উপর ছেড়ে দিলেই হবে না বরং পিতা মাতাকেও দায়িত্ব পালন করতে হবে। উক্ত অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকগণ গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন। এ'সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
বক্তারা বলেন, শিক্ষা একটি জাতীর মুল চালিকাশক্তি ও শিক্ষা সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। শিক্ষার মান ধরে রাখতে হলে শিশুদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। বক্তারা আরও বলেন যে বিগত বছরের সকল ব্যর্থতা, গ্লানি সবকিছু ভুলে সামনে নতুন করে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান। উক্ত মমতবিনিময় সভা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধৌ মৈত্রী, সম্পপ্রীতি, চেতনার জাগরণ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে জেগে উঠার প্রত্যয়ে অতীতের গানি মুছে দিয়ে নতুন দিনের স্বাভাবিক জীবন চলার প্রত্যাশায় পালিত হয়।