পৃথিবীব্যাপী আজ প্রকৃতি বিপর্যয়ের মুখে। প্রকৃতিকে সংরক্ষণ না করার কারণে মানুষ বিভিন্ন দুর্যোগের পতিত হচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে চুয়াডাঙ্গায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে পিকেএসএফ এর সহায়তায় ওয়েভ ফাউন্ডেশন এগ্রো ইকোলজি প্রকল্পের আওতায় ২৮ জুলাই সোমবার সকাল দশটায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের গো গ্রীন সেন্টার এর হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলোচনা সভা শেষে র্যালি ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়। আলোচনা সভা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক জহির রায়হানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি কে এইচ তাসফিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আল সাবা, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা লোকমোর্চা সভাপতি এডভোকেট মানিক আকবর, সাধারণ সম্পাদক লাইলা পারভীন। কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সমন্বয়কারী কামরুজ্জামান যুদ্ধ। অনুষ্ঠানের প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এগ্রো ইকোলজি প্রকল্পের ফিল্ড সমন্বয়কারী সাখাওয়াত হোসেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পৃথিবী আজ বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে। একদিকে আমরা মানুষ হিসাবে প্রকৃতিকে ধ্বংস করছি অন্যদিকে প্রকৃতি আমাদেরকে ধ্বংস করছে। এক সময় আমাদের দেশে খাল বিলে প্রচুর দেশি মাছ পাওয়া যেত। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে তা প্রায় বিলুপ্তির মুখে। পাহাড়ের মাটি কেটে, গাছপালা নিধন করে, নদী নালা খাল বিল ভরাট করে জনবসতি গড়ে তুলছি। ফলে এখন দেখা দিচ্ছে পাহাড় ধস, অনাবৃষ্টি,ঝড়, তুফান ও বন্যা সহ বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ। আমাদের ওয়াদা করতে হবে নদী নালা খাল বিলে মাটি ভরাট করে, গাছপালা নিধন করে, কীটনাশক রাসায়নিক সার ব্যবহার করে প্রকৃতিকে রুষ্ট করবো না। যত্রতত্র জনবসতি গড়ে তুলবো না।
আলোচনা সভা শেষে অতিথি ও অংশগ্রহণকারীরা র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। র্যালি শেষে অতিথিরা গো গ্রীন সেন্টারে বৃক্ষরোপণ করেন। বৃক্ষরোপণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ফলের চারা বিতরণ করা হয়।