চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে গলায় ফাঁস দিয়ে সালমান (২৪) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বাঁকা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত সালমান একই গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে।
নিহতের মা সালেহা বলেন, সালমান মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। তার চলাফেরা ছিল অস্বাভাবিক। সংসার জীবনে তার ৮ বছর ও ৩ বছরের দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। কিন্তু পারিবারিক কলহের জের ধরে তার বউ সন্তানদের নিয়ে গত তিন মাস ধরে বাপের বাড়ি সীমান্ত ইউনিয়নের গোয়ালপাড়ায় অবস্থান করছে। গত রাত রাত ২টার দিকে সালমান বাইরে থেকে বাড়িতে এসে ঘরের দরজা লাগিয়ে দেয়। তার অস্বাভাবিক আচরণ দেখে কিছুক্ষণ পর জানালার ফাঁক দিয়ে দেখি আমার ছেলে গলায় ফাঁস দিয়েছে। এসময় আমার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে দরজা ভেঙে সালমানের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
সালমানের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন বলেন, আমার বিয়ে হয়েছে দীর্ঘ ৯ বছর। আমার দুইটা পুত্র সন্তান রয়েছে। সালমান মাদকাসক্ত হয়ে পড়ার পাশাপাশি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে যায়। প্রতিনিয়ত সে আমাকে মারধর করত এবং সংসার চালাতে পারত না। এ কারণে আমি রাগ করে ৩ মাস আগে বাপের বাড়িতে চলে যায়।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, যুবকের গলায় ফাঁস দেওয়ার ঘটনাটি শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্তপূর্বক পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে