
চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত স্পিরিট পানে ৭ জনের মৃত্যুর ঘটনায় আদালতের নির্দেশে ৪ জনের মরদেহ কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে মরদেহ উত্তোলনের কাজ শুরু করে পুলিশ। দুপুরের মধ্যে মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ ও ১২ অক্টোবর সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ৭ ব্যক্তি বিষাক্ত স্পিরিট পানে মারা যান। এর মধ্যে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে অ্যালকোহলিক পয়জেনিংকে মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। পরে আরও একজনের মৃত্যু হয়। আর বাকি চারজনের মরদেহ আগেই গোপনে দাফন করা হয়েছিল।
এ ঘটনায় ১৩ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তের স্বার্থে ১৪ অক্টোবর চারজনের মরদেহ উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করে পুলিশ। পরবর্তীতে ১৬ অক্টোবর আদালত থেকে অনুমতি মঞ্জুর হলে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে মরদেহ উত্তোলনের কাজ শুরু হয়।
উত্তোলন চারজন হলেন— চুয়াডাঙ্গা সদরের পিরোজখালি গ্রামের নবীছউদ্দিনের ছেলে লাল্টু হোসেন, খেজুরা গ্রামের মৃত দাউদ আলীর ছেলে সেলিম (৪৫), নফরকান্দি গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে খেদের আলী (৫০) এবং শংকরচন্দ্র গ্রামের শহিদুল মোল্লা।
উত্তোলন কাজে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরুল হুদা মনির। তিনি জানান, আদালতের নির্দেশে মরদেহগুলো উত্তোলন করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর তা আদালতে দাখিল করা হবে।