কেরুজ চিনিকল ও ডিস্ট্রিলারির সামগ্রিক উন্নয়ন এবং কেনাকাটায় সাশ্রয় নিশ্চিত করতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান। ইতোমধ্যে বেশ কিছু অগ্রগতি সাধিত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। নিরাপত্তা জোরদারে মিল এলাকায় ৫টি স্থানে গেট নির্মাণ, ডিস্ট্রিলারির গেট ও পিছনের ৩টি গলি রাস্তা বন্ধ এবং ডিএস হাউজে ডিসপেনসিভ ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। কান্ট্রি লিকার ড্রামের পরিবর্তে ১০০০ মিলি ও ৫০০ মিলি পেট বোতলে বোতলজাতকরণ শুরু হয়েছে। এতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে আনুমানিক ২০ কোটি এবং ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ৫০ কোটি টাকার লাভের আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
কেরুজ আকুন্দবাড়িয়া ফার্মে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ হাজার ১৮৭ মেট্রিক টন জৈব সার উৎপাদিত হয়েছে। চলতি অর্থবছরে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২০০০ মেট্রিক টন, যার মাধ্যমে ১ কোটি টাকা আয় এবং ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ৫০ কোটি টাকার বিক্রির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ডিনেচার বিক্রিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় আনুমানিক ৮ হাজার ০০০ লিটার বেশি বিক্রি করে অতিরিক্ত লাভের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
আখ মাড়াইয়েও রেকর্ড পরিমাণ রিকভারি হয়েছে-গত বছরের ৪.৬২ শতাংশের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা বেড়ে হয়েছে ৫.১০ শতাংশ। দেশি-বিদেশি লিকার, ডিএস ও আরএস বিক্রিতে সর্বোচ্চ লাভের আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি চিনি ও সিএস রিকভারি বৃদ্ধি ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনাগত কার্যক্রমে প্রায় ৭-৮ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলেও জানান রাব্বিক হাসান