চুয়াডাঙ্গায় স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন চাকরি প্রত্যাশীরা।
সোমবার (৭ জুলাই) টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সকাল থেকে তারা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এসময় পরিস্থিতি উত্তেজিত হয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়।
প্রার্থীদের অভিযোগ, ২০ জুন লিখিত পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ দেখানো হয় এবং এক এলাকার প্রার্থীকে অন্য এলাকায় নিয়োগের জন্য মনোনীত করা হয়।
এক আন্দোলনকারী বলেন, আমরা প্রমাণসহ অভিযোগ তুলেছি। কিন্তু এর কোনো জবাব না দিয়ে দ্রুত নিয়োগ চূড়ান্ত করার চেষ্টা চলছে। আমরা এই অনৈতিক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল চাই। একই সঙ্গে সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দীনের অপসারণ এবং স্বাধীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি।
অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে সম্প্রতি জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৩ জুলাই দুটি তদন্ত কমিটি করে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, তদন্ত কাজ প্রায় শেষপর্যায়ে এবং প্রতিবেদন চূড়ান্তের পথে।
এর আগে ২০ জুন জেলার ১৯টি কেন্দ্রে স্বাস্থ্য সহকারী পদের লিখিত পরীক্ষা হয়। ৩৯টি শূন্য পদের বিপরীতে আবেদন করেছিলেন ১৩ হাজার ৬৬৮ জন, তবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন মাত্র ৪ হাজার ৮৭৪ জন। দুদিনের মাথায় ২২ জুন ফলাফল প্রকাশ করা হয়। তবে পরদিনই সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ হয়, যেখানে কিছু অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর উত্তীর্ণ হওয়ার অভিযোগ ওঠে।
এ বিষয়ে তখন চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দীন বলেন, এই পরীক্ষা শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়েছে। কোনো ধরনের অনিয়ম বা প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। পাঁচ সদস্যের একটি নিয়োগ বোর্ডের অধীনে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। যেখানে ছিলেন খুলনা বিভাগীয় পরিচালক, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র সহকারী সচিব, পিএসসির প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসনের একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং আমি নিজে।